হার্ট ফেইলিউর কি এবং তার কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার কি? | What is heart failure and its causes, symptoms, remedies?
হৃৎপিণ্ডের অ্যাট্রিয়াম ও ভেন্ট্রিকল বা উভয়ের সংকোচন ক্ষমতা লোপ পাওয়াকে হার্ট ফেইলিউর বলে। হার্ট ফেইলিউরের ফলে হৃৎপিণ্ড শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালন করতে পারে না। হার্ট ফেইলিউর হৃৎপিণ্ডের বামপাশে বা ডানপাশে হতে পারে।
কারণ :
হৃৎপিণ্ডের করোনারি ধমনির অন্তঃস্থ গাত্র কোলেস্টেরলের কারণে সরু হয়ে পর্যাপ্ত O2 এর অভাবে হার্ট ফেইলিউর ঘটে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট ফেইলিউর হতে পারে। দেহে ইনসুলিন উৎপাদন বা সঠিক ব্যবহার ব্যহত হলে হৃৎপেশি ও হৃৎপিণ্ডের কণিকাগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে হার্ট ফেইলিউর ঘটে। হৃৎপিণ্ডের জন্মগত বা সংক্রমণজনিত রোগের কারণেও হার্ট ফেইলিউর ঘটে। এমনকি হৃৎপিণ্ডের ভালব জনিত সমস্যা, এম্ফাইসেমা, থাইরয়েড গ্রন্থির অতিসক্রিয়তা, প্রবল রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া, স্থূলতা, অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান, ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজ এবং বুকের সংক্রমণেও হার্ট ফেইলিউর হয়।
লক্ষণ :
হৃৎপিণ্ডের বাম পাশে হার্ট ফেইলিউর হলে :- শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি ও সময় কমে যায়। যেকোনো কায়িক পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট হয়। হৃৎপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত অনুভূত হয়। রোগীর ওজন কমে যায়।
হৃৎপিণ্ডের ডান পাশে হার্ট ফেইলিউর হলে :- হাত-পা ফুলে যায়। পা এর নিচের অংশের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পায়ে ঘা হয়। রাত্রে প্রস্রাবের বেগ বেড়ে যায়। ফুসফুস ও যকৃতে পানি জমে ফুলে যায়। উদরীয় অঞ্চলে ব্যথা অনুভব হয়।
প্রতিকার :
হার্ট ফেইলিউর লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তারের নির্দেশমতো ওষুধ সেবন করতে হবে। এই ধরনের রোগীদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম। প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে। খাবারের আলগা লবণ বর্জন করতে হবে। রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। শরীরে ধমনি ও শিরাকে প্রসারিত রাখে এমন ওষুধ সেবন করতে হবে। সর্বোপরি হার্ট ফেইলিউর রোগীদের সবসময় চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।