বাস টপোলজি কি, তার সুবিধা-অসুবিধা কি | What is bus topology, its advantages and disadvantages
বাস টপোলজিতে একটি প্রধান সংযোগ লাইন থাকে যার দুই প্রান্তে দুটি টার্মিনেটর থাকে। এই প্রধান সংযোগ লাইনটিকেই বাস টপোলজি বলা হয়। নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্রভাবে বাসে সংযুক্ত থাকে। ডেটা পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রেরক কম্পিউটার লাইনে ডেটা পাঠিয়ে দেয়।
প্রেরিত ডেটার সাথে প্রাপক কে হবে সে তথ্য থাকে। বাসের সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রতিটি কম্পিউটার বাসে প্রবাহিত ডেটা পরীক্ষা করে দেখে। শুধুমাত্র প্রাপক কম্পিউটারই ডেটা গ্রহণ করে। অন্যরা এই ডেটা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে।
সুবিধা :
১. সরল সংগঠন তাই বাস টপোলজির বাস্তবায়ন সহজ ও ব্যয় অত্যন্ত কম।
২. রিপিটার বা কানেক্টর ব্যবহার করে সহজে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বাসের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা যায়।
৩. যেকোনো সময় নেটওয়ার্কের নতুন নতুন কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি যুক্ত করা যায়।
৪. নেটওয়ার্ক থেকে যেকোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্ন করা হলে বা নেটওয়ার্কের কোন কম্পিউটার নষ্ট হলেও নেটওয়ার্ক সচল থাকে।
৫. নেটওয়ার্কে কেন্দ্রীয় কোন ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না।
অসুবিধা :
১. সংকেত আদান-প্রদান অপেক্ষাকৃত কম দ্রুতগতিতে হয়।
২. প্রধান সংযোগ লাইন বা বাসে ত্রুটি হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে।
৩. বড় নেটওয়ার্কে এই টোপোলজি ব্যবহার করলে প্রধান সংযোগ লাইনে ভোটার আধিক্য দেখা দেয় এবং সংকেত সংঘর্ষ ঘটে, ফলে পুনরায় সংকেত প্রেরণের প্রয়োজন হতে পারে।
৪. নেটওয়ার্কের অন্য কোন সমস্যা দেখা দিলেও তা শণাক্ত করা কঠিন।