উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগের কারণ কি, লক্ষণ এবং প্রতিরোধ কি | What are the causes, symptoms and prevention of hypertension

নির্দিষ্ট বয়সে মানুষের সুস্থ শরীরে যে রক্তচাপ থাকা দরকার তার চেয়ে বেশি পরিমাণে রক্তচাপ সর্বদা বিদ্যমান থাকলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে।  নির্দিষ্ট বয়সে স্বাভাবিক যে রক্তচাপ থাকা দরকার তার চেয়ে যদি বেশি থাকে বা কম থাকে তবে রোগের নির্দেশ করে। রক্তচাপ বেশি হলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ ও কম হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে। সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ যথাক্রমে ১৪০ ও ৯০ mm Hg-এর বেশি হলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে গণ্য করা হয়। উত্তেজনা, চিন্তা, বিষণ্নতা, নিদ্রাহীনতা বা অন্য কোন কারণে যদি রক্তচাপ সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করে তবে তাকে হাইপারটেনশন বলা যাবে না এবং এ অবস্থায় কোন ওষুধেরও প্রয়োজন হয় না। 


উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগের কারণ কি, লক্ষণ এবং প্রতিরোধ কি | What are the causes, symptoms and prevention of hypertension


নিম্নলিখিত কারণে মানুষের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়-

১. বৃক্ক বা কিডনি সংক্রমনের কারণে বৃক্কের রক্ত পরিশোধন ক্ষমতা হ্রাস পেলে।

২. রক্তে সোডিয়াম আয়নের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে।

৩ . অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, মেদবহুল শরীর, অপর্যাপ্ত কায়িক পরিশ্রম, ধূমপান ও মদ্যপান জাতীয় কোন নেশা দ্রব্য সেবন। 

৪. এছাড়াও মানসিক বিষণ্নতা, নিদ্রাহীনতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি।


উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগ বা সমস্যা :

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন আধুনিক বিশ্বের একটি মারাত্মক রোগ। নিম্ন রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপের মত তত মারাত্মক নয়। তবে রক্তচাপ যথেষ্ট কমে গেলে নানা রকম অসুবিধা হয়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মানবদেহে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে,  তার মধ্যে রয়েছে- স্টোক, প্যারালাইসিস, হৃদপিণ্ড বড় হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট ফেইলিউর, অ্যানজাইনা,  বৃক্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়া,  দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত (দৃষ্টিক্ষীণতা, প্যাপিলিওডিমা ও  অন্ধত্ব ) প্রভৃতি।


উচ্চ রক্তচাপের প্রতিরোধ : 

রক্তচাপ প্রতিরোধ করার জন্য কিংবা প্রতিকার হিসেবে নিম্নলিখিত সতর্কতামূলক উপায় গুলো পালনের মাধ্যমে উপকার পাওয়া যায়-


১. দেহের ওজন বৃদ্ধি না করা।

২. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, হাটা, ব্যায়াম করা এবং খেলাধুলার অভ্যাস করা।

৩. চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করা।

৪.  সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।

৫.  পরিমাণের অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা।

৬. ধূমপান, মদ্যপান ও অন্য যেকোন নেশা হতে বিরত থাকা।

৭.  নিয়মিত দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো।

৮. মানসিক চাপমুক্ত ও দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করা।

৯. খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা।

১০. নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
মন্তব্য নেই
মন্তব্য যোগ করুন
comment url